খালেদার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনও করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দীন আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বেলা ১১টায় মামলার বিষয়ে শুনানি হবে।
গত ২১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি দেয়। ২৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র পুলিশ সদর দফতর হয়ে শাহবাগ থানায় পৌঁছে।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহের কিছু নেই বলে উল্লেখ করেছেন তার আইনজীবী ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। রবিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া গত ২১ ডিসেম্বর শহীদদের সঠিক তথ্য থাকার বিষয়ে যা বলেছেন তাতে কোনোভাবেই রাষ্ট্রদ্রোহ হয়নি।
অন্যদিকে, বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. শাহদীন মালিকও রবিবার রাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সঙ্গে রাষ্ট্রদ্রোহের কোনো মিল নেই। তবে খালেদার জিয়ার বক্তব্য অন্যায় ও অগ্রহণযোগ্য।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।
এরপর ২৩ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাব পাওয়া গেছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান তিনি।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি